গানের পাতা

'গানের পাতা' বর্তমান কালের গানরচয়িতাদের জন্য পরিচালিত একটি ফোরাম। একটি সফল গান সৃষ্টির পেছনে এর রচয়িতা, সুরস্রষ্টা, কণ্ঠশিল্পী, বাদ্যযন্ত্রী—এদের সবার ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু রচয়িতার ভূমিকাই মূখ্য এই অর্থে যে, ভুল ভাষাশৈলি ও অশুদ্ধ আঙ্গিকে লেখা গান টিকে থাকে না—এতে সুর ও বাদ্যযন্ত্রের কারুকাজ যত মাধুর্য্যমণ্ডিতই হোক না কেন । বর্তমান প্রজন্মের গানরচয়িতাদের অনেকেই ছন্দ থেকে শুরু করে ভাষাশৈলি, কাব্য-উপাদানের পরিমিত ও পরিশীলিত ব্যবহার ও বিশুদ্ধ আঙ্গিক সম্পর্কে বেশ অজ্ঞতার পরিচয় দেন: এ-কথা অত্যুক্তি নয়। এসব বিষয়ে শুদ্ধতার অনুশীলন তাই অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এই ফোরামে নিবন্ধিত সদস্যগণ তাঁদের নিজের লেখা গানের কবিতা ও গানবিষয়ক আলোচনা প্রকাশ করে সতীর্থদের আলোচনা-সমালোচনার মাধ্যমে এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে শুদ্ধতার চর্চায় নিবেদিত হওয়ার সুযোগ পাবেন—এই প্রত্যাশা নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হলো। এ-কারণে ফোরামের ট্যাগলাইন হিসেবে জুড়ে দিয়েছি ‘বিশুদ্ধতার পাঠশালা’ এই শব্দগুচ্ছ। এর সঙ্গে ইতোপূর্বে রেকর্ডকৃত ও প্রচারিত সদস্যদের নিজেদের গান এবং জীবিত কিংবা প্রয়াত সব খ্যাতিমান গীতিকবিদের লেখা গানের বাণী, তার অডিও-ভিডিও, ইউটিউব-এর লিঙ্ক সংগ্রহ করে একটি আর্কাইভ (সংগ্রহশালা) গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতেও আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। এসব তথ্য সংগ্রহের কাজে সব সদস্যই আমাদের সহায়তা করবেন আশা রাখি। রেকর্ডকৃত ও প্রচারিত গানের বেলায় সুরস্রষ্টা ও কণ্ঠশিল্পীর নাম অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। রবীন্দ্রনাথ-নজরুলসহ পঞ্চকবি নামে খ্যাত গীতিকবিদের গান এই আর্কাইভে থাকবে না কারণ আমাদের উদ্দেশ্য গান রচনায় নবীন গীতিকবিদের প্রশিক্ষণ প্রদান। পঞ্চকবির যুগ পেরিয়ে আধুনিক কালে গানের ভাষাশৈলিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। তাই. আমাদের খ্যাতিমানদের তালিকায় থাকবেন কেবল 'প্রকৃত আধুনিক' যুগের ভারতীয় ও বাংলাদেশি গীতিকবিগণ। কিন্তু লালন সাঁইঝি পঞ্চকবির অগ্রজ হলেও এবং হাজন রাজা, রাধারমণ, জসীম উদ্ দীন, জালাল খাঁ প্রমুখের কেউকেউ পঞ্চকবির সমসাময়িক হলেও তাঁঁরা যে-বিবেচনায় আমাদের পাতার খ্যাতিমানদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন তা হলো: পল্লীগীতি ও মরমী গানের ক্ষেত্রে ভাষাগত কোনো বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয় নি। অতএব, পল্লীগীতি ও মরমী গান রচনায় তাঁরা এখনও প্রাসঙ্গিক এবং নতুনদেরও আদর্শ হিসেবে বিবেচ্য হতে পারেন। আপনি এই ফোরামের সদস্য হওয়ার জন্য আগ্রহী হলে পাতার নিচের 'নিয়মাবলি' লিঙ্কে ক্লিক করে আগে আমাদের নিয়মাবলি জেনে নিন। তারপর ওপরের 'রেজিস্ট্রেশন' লিঙ্কে ক্লিক করে আপনার নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) সম্পন্ন করুন। নিবন্ধিত না-হলে কারো কোনো গীতিকবিতা, আলোচনা বা অডিও-ভিডিও এই ফোরামে প্রকাশ করা হবে না। আমাদের নিয়মাবলি মানতে কেউ অপারগ হলে তিনি এই ফোরামে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। বিশুদ্ধ বাংলা গানের পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমেই আমরা গানের জগতে অপসংস্কৃতির বিস্তার রোধ করতে পারি—যে প্রয়োজনটি আজ খুব জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করি।

সাম্প্রতিক সংযোজন

শিরোনাম
মন্তব্য

বাছাইকৃত লেখা


গানের কাঠামো - ১

বাংলা গানের কাঠামো বলতে এখন যাকে আমরা চিরন্তন বলে মনে করি তারই উদাহরণ দিয়ে শুরু করা যাক। বর্তমান সময়ে আধুনিক বাংলা গান যে দুটি কাঠামো মেনে রচিত হচ্ছে, তেমনই দুটি গান উদ্ধৃত করলাম।
গান ।। ১ ।।
আস্থায়ী : ওই পারে খেয়া এই পারে দেয়া
মাঝ নদী জুড়ে পাগলা বাতাস ভিজছে
এযেন আমার মন হারাবার
খেয়ালী খেলার ইচ্ছে ।।
অন্তরা : দেখে- খ্যাপা-শ্রাবণের এই পাগলামি
এই আমি তবু নেই যেন আমি
বুঝি না কে কারে... বিস্তারিত

গানের কাঠামো - ২

গানের কাঠামোর প্রথম অংশটি আগে পড়ি নিন: গানের কাঠামো - ১
---------
আস্থায়ী : এটিই হলো গানের প্রারম্ভিক স্তর বা প্রথম পদ। সম্পূর্ণ গানটির যে ভাব বা বক্তব্য তারই সূচনা হয় আস্থায়ীতে। বিভিন্ন স্তর শেষে আবার আস্থায়ীটি গাওয়া হয়। বিশেষ করে অন্তরা ও আভোগের পর। যে স্তরটি দিয়ে গান শুরু হবে এবং বার বার ঘুরে ঘুরে আসবে, এমনকি গান শেষও হবে যে স্তরটি গাইতে গাইতে, সেই আস্থায়ীকে বক্তব্য উপস্থাপনে তাই আকর্ষণীয় এবং চমকপ্রদ হতেই হবে। 'স্থায়ী' শব্দটিই ঠেট হিন্দি উচ্চারণে 'আস্থায়ী' হয়ে গেছে। এই অংশের ভাবটিই গানের স্... বিস্তারিত

গুন গুন গুন গান গাহিয়া

গুন গুন গুন গান গাহিয়া নীল ভ্রমরা যায়
সেই গানের টানে ফুলের বনে ফুলের মধু উছলায়।।
ভ্রমর যখন ফুলের সাথে করে আলিঙ্গন
চাইয়া থাকি তখন আমার কেমন করে মন।
ফুল যদি হইতাম আমি গাছের ডালায়।
তখন নীল ভ্রমরা হইয়া বন্ধু উইড়া বইতো আমার গায়।।
আমায় ফুল করিতে ভুল কইরাছে সৃষ্টি বিধাতায়
নইলে কী আর সোনার যৌবন ভাটা পইড়া যায়।
পাইতাম যদি প্রান বন্ধুরে ঘুম পাড়াইতাম ফুল শয্যায়
আমার জীবন যৌবন বিছাইতাম বন্ধুর দুইটি রাঙ্গা পায়, রাঙ্গা পায়।। বিস্তারিত

আমার তো নেই কোনো বনলতা সেন

আমার তো নেই কোনো বনলতা সেন
হাজার বছর পরে বহু পথ ঘুরে যদি ফিরেও আসি
তবু কেউ বলবে না "এতদিন কোথায় ছিলেন" ॥
পাখিরা কুলায়ে ফেরে, নদীরও চলার শেষে রয়েছে সাগর--
কে আছে আমার মতো চির যাযাবর?
কী কুশল জানাবো তা আজও জানা নেই
তবু যদি কেউ কিছু ডেকে শুধাতেন ॥
আমার তো নেই কোনো বনলতা সেন.. .. ..
খুঁজেছি অনেক তবু দেখিই নি চোখে আজও দারুচিনি দ্বীপ
জ্বালে নি কোনও নারী প্রেমের প্রদীপ বিস্তারিত
শেয়ার করুন:  

গানের শ্রেণি

আপনি খ্যাতিমান গীতিকবিদের যে-ধরনের গান পড়তে বা শুনতে চান সে অনুযায়ী নিচের তালিকায় উল্লেখিত শ্রেণির যেকোনো একটিতে ক্লিক করুন: