দেহখেয়ায় দেবো পাড়ি

দেহখেয়ায় দেবো পাড়ি
লেখক মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান
প্রকাশনী হাওলাদার প্রকাশনী
সম্পাদক মোহাম্মদ মাকসুদ
প্রচ্ছদ শিল্পী নিয়াজ চৌধুরী তুলি
স্বত্ব লেখক
প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ২০১১
সর্বশেষ সংস্করণ ১ম
বিক্রয় মূল্য ২৫০/- টাকা
বইটি কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

ভূমিকা

জামান বলে

তারিখটা ছিলো ১৯৯৯ সালের ১০ নভেম্বর। প্রচণ্ড জ্বরের ঘোরে প্রায় অচেতন ছিলাম আমি। অথচ সে দিনই রাত আনুমানিক দশটা থেকে পরবর্তী ভোর পর্যন্ত রচিত হয় দশটি গান। আমি মোটামুটি সুস্থ হবার পর, ১৬ নভেম্বর, আমার স্ত্রী আমাকে সেগুলি দেখান। বলেন দশ তারিখ রাত্রে, সারা রাত আমি ওগুলি লিখেছি এবং চিৎকার করে গেয়েছি। আমার অতি বেসুরো কণ্ঠে গান গাওয়াটা লজ্জার। সে লজ্জাবোধ অতিক্রম করে বিস্ময়ের সঙ্গে দেখলাম, পত্রিকার ছাপানো পৃষ্ঠার উপর জড়ানো এবং কম্পিত হাতে গানগুলি লেখা। হস্তাক্ষর যেমন বিচিত্র, ওগুলির ভাব-ভাষাও তেমনই। পাঠোদ্ধার করতে চার-পাঁচ দিন সময় লেগে যায়। বিখ্যাত আবৃত্তিকার, বন্ধু আশরাফুল আলম প্রথম ওগুলি দ্যাখেন এবং তাঁর দীর্ঘ বাউল সঙ্গজাত অভিজ্ঞতায়, তত্বজ্ঞানসমৃদ্ধ বিশ্লেষণে বিচিত্র অর্থ নিরূপণ করেন। তিনিই এর নাম দেন 'ঘোর'। অতঃপর - এজাতীয় লেখা চলতে থাকে। ২০০৩ সালে এমন ১২২টি গান নিয়ে 'ঘোর' নামেই প্রথম সংকলনটি প্রকাশিত হয়। একই ধারার গানের এটি দ্বিতীয় সংকলন।

'ঘোর' প্রকাশের পর বিভিন্ন বিদগ্ধজনের যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছি, তা আমাকে অভিভূত করেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শ্রদ্ধেয় ড. মনিরুজ্জামান প্রেরিত তেমন একটি পত্র এই গ্রন্থে সংযুক্ত করলাম।

সেই ১৯৯৯ সাল থেকে এই ২০১১ পর্যন্ত সময়ে, অনেকটা অতিপ্রাকৃতভাবে আমি মরমী সাধনায় প্রবৃত্ত হয়ে যতটুকু বুঝেছি তা হলো, আমার মধ্য দিয়ে কোনো পরমের ইচ্ছা যদি পূরণ হয়- তবে তাই হোক।

উৎসর্গ

অনুপ ভট্টাচার্য-কে
সুবান্ধব সুমন সখা-কে
সুপ্রিয় সুজন
সংগীতে সুবদ্ধ শুদ্ধ
সঙ্গী নিরঞ্জন

গানের কবিতা

এখানে দেহখেয়ায় দেবো পাড়ি বইয়ের ৬টি গানের কবিতা পাবেন।

শিরোনাম
মন্তব্য
শেয়ার করুন: