অন্ত্যমিল কি? অন্ত্যমিল কাকে বলে? এই প্রশ্ন দু'টির জবাব পেতে হলে আগে জানা দরকার মিল কী?... দুটি পানপাত্রে খুব বেশি রকম আকৃতিগত পার্থক্য থাকলে-- যেমন গ্লাস ও বাটি, কিংবা বেশি বড় ও ছোট হলে-- সাদা চোখেই বেখাপ্পা লাগে। এর বিপরীতে আবার, যদি দুটি পান পাত্র একই হয়, অর্থাৎ দুটিই কাঁচ নির্মিত, আকৃতি এবং মাপেও হুবহু এক, পাত্র দুটির নকশাও একই, তাহলে পাত্র দুটিকেও একই মনে হয়। তাকে আর আমরা মিল বলি না। বলি দুটি পাত্র একদম এক। বরং দু'টি পানপাত্র, দু'ধরণের উপকরণে তৈরি হলেও দুটির কারুকাজ যদি একই হয়, গড়ন যদি একধরণের হয় এবং আকারেও বেশী ছোট বড় না হয়, তবে পাত্র দুটিতে মিল আছে বলে মনে হয়। অর্থাৎ হুবহু এক নয়; উপকরণ কিংবা কারুকাজ কিংবা আকৃতি যেখানেই হোক একটু ভিন্নতা থাকলেই আমরা মিল খুঁজি। আমরা বলি, একটা গ্লাস কাচের, একটা গ্লাস স্টীলের হলেও বেশ মিল আছে। শব্দে-শব্দে মিলটাও ওরকমই। দুটো শব্দ পাশাপাশি রেখে দেখা যাক - 'মামা' এবং 'জামা'। কানে শুনতেই মনে হয় মিল আছে। কিন্তু 'মামা' বলে যদি আবারও 'মামা' বলতাম তাহলে যে কেউ বলতো, এতো একই শব্দ দুবার বলা হলো। তেমনি দু'বারই জামা বললেও-- তা, একই শব্দ বলা হতো। শব্দে শব্দে মিল করা হতো না। আরো দেখা যাক-- 'খই' এবং 'মই', 'আমি' এবং 'দামী', 'লিখি' এবং 'শিখি', 'মুখ' এবং 'সুখ', ইত্যাদি।


এবার মিলের বিষয়টা বিশ্লেষণ করা যাক। মামা-- জামা। 'মামা' শব্দটির প্রথম অংশ 'মা' আ-কারযুক্ত ধ্বনি; 'জামা' শব্দটির প্রথম অংশ 'জা'ও আ-কারযুক্ত ধ্বনি। অর্থাৎ ধ্বনিগত ভাবে দুটির মধ্যে মিল আছে। আর দুটি শব্দের শেষাংশ 'মা' এবং 'মা' তো সবদিক থেকেই এক। খই-মই শব্দ দুটিকে আমরা যেভাবে উচ্চারণ করি সেই উচ্চারণ অনুযায়ী লিখলে হবে 'খোই' এবং 'মোই'। অতএব দেখা যাচ্ছে 'খই' এর 'খ' ও-কারযুক্ত ধ্বনি। 'মই' এর 'ম'ও ও-কারযুক্ত ধ্বনি। দুটি শব্দেরই শেষাংশ 'ই' তো সবদিক থেকেই এক। আমি-দামী, এই শব্দ দু'টির 'আ' তো আকার-যুক্তই, 'দা'ও আ-কারযুক্ত ধ্বনি। 'আমি'তে 'মি' হ্রস্ব ই-কারযুক্ত এবং 'দামী' তে 'মী' দীর্ঘ ই-কারযুক্ত। হ্রস্ব বা দীর্ঘ যাই হোক, ধ্বনি তো ই-কারযুক্ত, অতএব একেও একই ধরা হয়। একই ভাবে হ্রস্ব উ-দীর্ঘ উ (উ-ঊ)কেও একই ধরা হয় মিলের ক্ষেত্রে। লিখি-শিখি শব্দ দুটির ক্ষেত্রেও 'লি' যেমন ই-কারযুক্ত ধ্বনি, তেমনই 'শি'ও ই-কারযুক্ত। অতএব ধ্বনিগত মিল ঠিকই আছে। আর দুটি শব্দেরই শেষাংশ 'খি' তো একই। মুখ-সুখ শব্দ দুটি বিশ্লেষণ করলেও একই ফল পাওয়া যাবে। 'মুখ' এর প্রথমাংশ 'মু' ধ্বনিগতল ভাবে উ-কারযুক্ত, 'সুখ' এর 'সু'ও উ-কারযুক্ত। দুটি শব্দেরই শেষাংশ 'খ্', অর্থাৎ একই। এবার এরকম মিলের কিছু শব্দ দেখা যাক। খড়-ঝড়-কড় (কড়কড়)-গড় (গড়গড়)-পড়-মড় (মড়মড়); করা-খরা-ধরা-চরা-ঝরা-পরা; আঁকা-বাঁকা-পাকা-চাকা-ডাকা-ঢাকা; নীল-মিল-চিল-ঝিল-বিল-তিল; আঁখি-পাখি-রাখি (রাখী)-মাখি-শাখী; দিয়ে-নিয়ে-বিয়ে-টিয়ে-ঝিয়ে (মায়ে-ঝিয়ে); উঁকি-টুকি-ঠুকি-ঢুকি-ঝুঁকি; এসো-বেসো (ভালবেসো)-মেশো-ভেসো-পেশো (একপেশো); কোটা-খোঁটা-গোটা-ছোটা-ফোটা-বোঁটা; কৈ (কই)-থৈ (থই)-দৈ (দই)-বৈ (বই)-হৈ চৈ (হই চই)-সৈ (সই) ইত্যাদি।


এ পর্যন্ত আমরা দেখলাম দুই অক্ষরবিশিষ্ট শব্দে-শব্দে মিল হতে গেলে শব্দের প্রথমাংশ অ-কার, আ-কার, ই-কার, উ-কার, এ-কার, ঐ-কার, ও-কার, যেটাই হোক দুটি শব্দই ধ্বনিগতভাবে এক হতে হবে। আর শেষাংশ অক্ষরগতভাবে একই হতে হবে। তবে একটু ব্যতিক্রমও আছে। দুই অক্ষরের শব্দে শব্দে অন্য রকম মিলও হতে পারে। শব্দের শেষাংশে একেবারে একই না হয়ে, কানে কাছাকাছি শোনায়-- এমনও হতে পারে। যেমন, একা'র সঙ্গে দেখা, মতে'র সঙ্গে পথে, রাত'র সঙ্গে চাঁদ, বেগ'র সঙ্গে মেঘ, ফোটা'র সঙ্গে ওঠা, নাচে'র সঙ্গে আছে, খোঁজা'র সঙ্গে বোঝা, ভাব'র সঙ্গে লাভ ইত্যাদি। অর্থাৎ ক'র সঙ্গে খ, গ'র সঙ্গে ঘ, চ'র সঙ্গে ছ, জ'র সঙ্গে ঝ, ট'র সঙ্গে ঠ, ত'র সঙ্গে থ-দ, দ'র সঙ্গে ধ, ব'র সঙ্গে ভ, ইত্যাদি। এর মধ্যে ত'র সঙ্গে ধ এবং চ'র সঙ্গে জ'র মিলও কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায়। যেমন 'রাত' এবং 'সাধ', 'নাচে' এবং 'বাজে'। তবে, শেষাংশে একই বর্ণ বা কানে শুনতে খুব কাছাকাছি ধ্বনিত হয়, এমন বর্ণের ব্যবহার করা গেলেও, প্রথমাংশের নিয়মে কোনো শৈথিল্য ঘটলেই তাকে ভুল হিসেবে গণ্য করা হবে।


দু'এর অধিক বর্ণ বা অক্ষরবিশিষ্ট শব্দসমূহের মিলের প্রসঙ্গে আসা যাক। তিন অক্ষরবিশিষ্ট একটি শব্দ, অপর তিন অক্ষরবিশিষ্ট শব্দের সঙ্গে মিলের ক্ষেত্রে উভয় শব্দের প্রথম অক্ষরে যদি ধ্বনিগত মিল থাকে এবং শেষ দু'টি বর্ণ বা অক্ষর যদি অ-কার, আ-কার, ই-কার, উ-কার, এ-কার, ও-কারসহ একেবারে এক হয় তবে সবচেয়ে শ্রুতিমধুর হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, করবী-গরবী, বরুণা-করুণা, সবিতা-কবিতা, চলন-বলন, অনেক-ক্ষনেক, স্বভাবে-অভাবে, শালীন-কালীন, অরুণ-তরুণ ইত্যাদি। একেবারে এরকম নাহলে তা যে মিল হিসেবে গণ্য হবে না-- তা কিন্তু নয়। তিন অক্ষর বিশিষ্ট দুটি শব্দের প্রথম অক্ষর দু'টি যদি ধ্বনিগত ভাবে নাও মেলে, শেষ দু'টি অক্ষরে মিল থাকলেও তা শুদ্ধ হবে। যেমন, বিকাশ-প্রকাশ-আকাশ। এখানে শেষ দু'টি অক্ষর একেবারে এক। -কাশ, -কাশ, -কাশ। তবে এটি কিন্তু মামা এবং মামা বলার মত নয়। কারণ, মামা এবং মামা বললে একই শব্দ দুবার বলা হয় এবং অর্থও এক থাকে। পক্ষান্তরে '-কাশ' শব্দটি সম্পূর্ণ শব্দ নয় এখানে, শব্দাংশ মাত্র। এই শব্দাংশটির আগে ভিন্ন ভিন্ন অক্ষর বসে তিনটি ভিন্ন শব্দ তৈরি করেছে। শব্দ তিনটির অর্থও ভিন্ন ভিন্ন। তিন অক্ষর বিশিষ্ট শব্দের ক্ষেত্রে আরো এক ভাবে মিল করা যায়। যেমন, বিকাশ-উদাস-আভাষ-সুবাস। এখানে দু'অক্ষর বিশিষ্ট শব্দের নিয়মে, তিন অক্ষরের শেষ দু'টি অক্ষরকে বিচার করতে হবে। অর্থাৎ, -কাশ, -দাস, -ভাষ, -বাস। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, করবী-গরবী, অথবা প্রকাশ-আকাশ, অথবা উদাস-আভাষ মিল হিসেবে ভুল নয়। তাহলে ভুল হবে কোথায়? ভুল হবে যদি, 'আকাশ' এর সঙ্গে নিকষ-দিবস-নিবেশ-আদেশ-নালিশ-বেহুশ ইত্যাদি শব্দ মিল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কেন ভুল হবে? কারণ, এখানে শেষ অক্ষরটি শ-ষ-স হলেও, অর্থাৎ 'শ' হিসেবে উচ্চারিত হলেও তার পূর্ব অক্ষরটি একই ধ্বনিযুক্ত হবার শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। 'আকাশ' এর 'কা' আ-কারযুক্ত, 'নিকষ' এর 'ক' এবং 'দিবস' এর 'ব' অ-কারযুক্ত, 'নিবেশ' এর 'বে' এবং 'আদেশ' এর 'দে' এ-কারযুক্ত, 'নালিশ' এর 'লি' ই-কারযুক্ত এবং 'বেহুশ' এর 'হু' উ-কারযুক্ত। 'আকাশ' এর 'কা' এর সঙ্গে ক, ব, বে, দে, লি, হু, ধ্বনিগত মিল সৃষ্টি করতে পারেনি। কোনো অক্ষরই 'কা' এর মত আ-কারযুক্ত নয়।


মিলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভুল-- যা এমনকি অনেক প্রতিষ্ঠিত স্বনামখ্যাত গানের কবিও হর-হামেশা করে চলেছেন, তা হলো ক্রিয়াপদে ক্রিয়াপদে মিল। ক্রিয়াপদে ক্রিয়াপদে মিল করতে হলে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যে মূলপদ দু'টিতে মিল আছে কি না। যেমন, চাওয়া-পাওয়া-খাওয়া-যাওয়া। যেহেতু এই পদগুলি পরস্পরের সঙ্গে মিলযুক্ত, তাই কালভেদে এর যেরূপ বদলই ঘটুক না কেন-- তা পরস্পর মিলবে। যথা-- চায়-পায়-খায়-যায়, চাবে-পাবে-খাবে-যাবে ইত্যাদি। আবার, হাওয়া-রওয়া-সওয়া-কওয়া, কালভেদে, হয়-রয়-সয়-কয়, হয়েছে-রয়েছে-সয়েছে-কয়েছে, হবে-রবে-সবে-কবে, হয়েছিলো-রয়েছিলো-সয়েছিলো-কয়েছিলো। একইভাবে, ডাকা-থাকা-আঁকা-ঢাকা, কালভেদে, ডাকে-থাকে-আঁকে-ঢাকে, ডেকেছে-থেকেছে-এঁকেছে-ঢেকেছে, ডাকবে-থাকবে-আঁকবে-ঢাকবে, ডাকতো-থাকতো-আঁকতো-ঢাকতো। এসবই মিল হিসেবে যথার্থ। কালভেদে এইসব পরিবর্তিত রূপের শব্দের সঙ্গে যদি রে-যে-না-তো যোগ করা যায় তাহলেও তা মিলবে, যেমন-- হয়রে-রয়রে-বয়রে-সয়রে; হয়যে-রয়যে-বয়যে-সয়যে, হয় না-রয় না-বয় না-সয় না, হয় তো-রয় তো-বয় তো-সয় তো। একইভাবে, চায় না-পায় না-খায় না-যায় না; চায়রে-পায়রে-খায়রে-যায়রে ইত্যাদি যে কোনো রূপভেদের সঙ্গে মিলবে। কিন্তু চায়রে-এর সঙ্গে হয়রে, চায় না-এর সঙ্গে হয় না, চায় তো-এর সঙ্গে হয়তো, চায়যে-এর সঙ্গে হয়যে, মিল নয়-- অতি ঘোর গোঁজামিল। আবার কারকভেদে যে পরিবর্তন, সেখানেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। চাই না-পাই না-খাই না-যাই না পরস্পর মিলবে। একইভাবে মিলবে চাও না-পাও না-খাও না-যাও না। কিন্তু চাইনা-হইনা অথবা চাও না-হও না পরস্পর মিলবে না। আমাদের দুর্ভাগ্যের বিষয়, শুধু গোঁজামিল নয়, এমন ভয়ঙ্কর সব অমিলকে মিল হিসেবে চালিয়ে দেয়া হয় যাকে নিম্নশ্রেণীর মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। যেমন, যায়রে-চলেরে, যায় না-চলে না, বলে না-দ্যাখে না, ইত্যাদি। এসব নগ্ন মূর্খতা অথবা অক্ষমতা বা অযোগ্যতা চাউর করে, রাশি রাশি গান রচিত হয়েছে, হয়ে চলেছে। এরকম বহু গান এবং তার রচনাকর্ম যারা চালিয়েছে তাদেরকেও জাতীয়ভাবে, রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কৃত হতে দেখা যায় তথাকথিত বিজ্ঞ (!) সংগীত বিচারকবৃন্দের বৈদগ্ধের প্রশ্রয়ে। এই নির্লজ্জ্ব দায়িত্বহীনতা সবচেয়ে বড় ক্ষতি করছে গানের কবিতা লিখতে আসা নবাগতদের। মূর্খতাকে পুরস্কৃত হতে দেখে প্রলুব্ধ হয়ে পথভ্রষ্ট হচ্ছে নবীন প্রজন্মের অনেকেই।


একেবারে নতুন প্রজন্মের ছন্দ-মাত্রা-মিল-অর্থময়তা-কাব্য এবং বাক্যগঠনে অজ্ঞ তথাকথিত 'গীতিকার'দের উদ্ভট-আধুনিকতাকে আমি এই আলোচনায় আনার যোগ্যই মনে করছি না। ইদানিং কোনো কোনো 'সুরকার' আবার সুর করতে করতে দু'চারটে 'গান' লিখে ফেলছেন। সে সব আবর্জনাও এ আলোচনার বাইরে থাকছে। উল্লেখ্য, এখানে আমি 'গীতিকবি' না বলে 'গীতিকার' বলেছি, 'সুরস্রষ্টা' বা 'সুরশিল্পী' না বলে 'সুরকার' বলেছি এবং 'গানের কবিতা' লেখা না বলে 'গান' লেখা বলেছি সচেতনভাবেই। এই অতি অঘটনের বাইরেও, এদেশে রচিত এবং বেতার, টিভি, চলচ্চিত্র ও অডিও এ্যালবামে প্রচারিত-প্রকাশিত-প্রচলিত অতি সাধারণ কিছু ভুল অন্ত্যমিলের নমুনা এখানে তুলে দিচ্ছি।


আমি-তুমি, আমার-তোমার, আমাকে-তোমাকে, চোখ-মুখ, কেন-আনো, চেনা-জানা, চেনা-শোনা, জানা-শোনা, শিষ-দেশ, আয়না-হয় না, বিছানা-চায় না, চায়-হয়, চায় না-হয় না, জানো না-ঠিকানা, হতে-সাথে, চায় না-পারে না, পড়েছি-ফেলেছি-দিয়েছি, লাগে না-বসে না-বুঝি না, চোখে-লেখে, কোটি-ফুটি, সুর-ভোর, কোল-ভুল, বুকে-টাকে, দোলা-জ্বালা, হাত-পথ, একা-ঢাকা, দেখা-আঁকা, ভুলে-দোলে, অভিযোগে-অনুরাগে, ফুলডোরে-মণিহারে, শুনবো না-বলবো না, বলে-ছিলে, জোছনা-অজানা, দুয়ারে-যেওরে, রাতে-পেতে, ওম-ঘুম, থেকো-লিখো, প্রতি-প্রীতি, যদি-কাঁদি, এসে-দোষে, দিকে-তাকে, কিনা-বিড়ম্বনা, দেবো-রবো, যেখানে-যতনে, নাকি-দেখলো কী-উঁকি, ভাষা-দিশা, যায় না-ময়না, ইত্যাদি।


গান ধরে ধরে-- যদি এই জাতীয় ভুলের পূর্ণ তালিকা দেয়া যায়-- তবে সেটাই একটি ভুল-নির্দেশক গ্রন্থ হয়ে যাবে। কারণ, আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের সমসাময়িক এবং পরবর্তী আর কেউই যথাযথ অন্ত্যমিল সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না-- এবং যোগ্যতাও ছিলো না অনেকের।