আজ মুহাম্মদ আনিছুর রহমানের " প্রকৃতির উপামায় তুমি" গানটির ১) ছন্দ ও পর্ব বিভাজন  করে দেখি।


নীল অাকাশের/ চাঁদের আলো/ পড়ছে তোমার /গায় = ৬/৫/৬/২
স্বরবৃত্তে করুন-
নীল অাকাশের/ চাঁদের আলো/ পড়ছে তোমার /গায় = ৪/৪/৪/১


চাঁদের আলোয়/ চিনে নিলাম/ শুধু-তো/মায় = ৬/৫/৩/২
স্বরবৃত্তে করুন-
চাঁদের আলোয়/ চিনে নিলাম/আজ শুধু-তো/মায় = ৪/৪/৪/১


তোমার মতো /কোমল মন/ বাস করে অা/মায় = ৫/৫/৫/২
স্বরবৃত্তে করুন-
তোমার মতো /ও কোমল মন/ বাস করে অা/মায় = ৪/৪/৪/১


ভালবাসার/ ঘর বানাব /আমি হৃদয়-মহু/নায়। = ৫/৫/৭/২
স্বরবৃত্তে করুন-
ভালোবাসার/ ঘর বানাব / হৃদয়-মোহ/নায়। = ৪/৪/৪/১



সবুজ পাতার /রং মিশানো/ প্রকৃতির ঐ ধা/য়ায় =৬/৪/৭/২
স্বরবৃত্তে করুন-
সবুজ পাতার /রং মিশানো/ প্রকৃতির  ধা/য়ায় =৪/৪/৪/১


মিশেছে আলোর/ পরশে যেথা/ রূপ-প্র/ভায় = ৬/৫/৩/২
স্বরবৃত্তে করুন-
মিশেছে ঐ/ আলোর ছোঁয়া/ যেথা রূপ-প্র/ভায় = ৪/৪/৪/১


{তোমার মতো কোমল মন বাস করে অামায়
ভালবাসার ঘর বানাব আমি হৃদয়-মহুনায়।} > উপরে বর্ণিত।


আলোর বন্যায় /মেতেছি আমি/ তোমার ঐ স্নিগ্ধ/তায় = ৭/৫/৭/২
স্বরবৃত্তে করুন-
আলোর বন্যায় /মেতেছি যে/ তোমার স্নিগ্ধ/তায় = ৪/৪/৪/১


তোমার বান্ধব /হয়েছি আমি/  সুর-ছল/নায়,= ৭/৫/৪/২
স্বরবৃত্তে করুন-
তোমার বান্ধব /হয়েছি আমি/ও  সুর-ছল/নায়,= ৪/৪/৪/১


{তোমার মতো কোমল মন  বাস করে অামায়
ভালবাসার ঘর বানাব আমি হৃদয়-মহুনায়।


নীল অাকাশের চাঁদের আলো পড়ছে তোমার গায়
চাঁদের আলোয় চিনে নিলাম শুধু-তোমায়
তোমার মতো কোমল মন বাস করে অামায়
ভালবাসার ঘর বানাব আমি হৃদয়-মহুনায়।} > উপরে বর্ণিত।


কবি গানটিকে মাত্রাবৃত্ত বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু গানের কবিতাটি কোনো ভাবেই মাত্রাবৃত্তের নয়। এটি স্বরবৃত্তের। কবিকে ছন্দের ব্যাপারে আরও মনোযোগী হতে হবে।


২) এবার গানের কাঠামো নিয়ে আলোচনা করি।


গানের কাঠামো অনুযায়ী গানটি সঠিক হয়নি। তার কারণ
ক) আস্থায়ী ও আভোগ একই আছে এই গানটিতে। কোনো পরিবর্তন করা হয় নি।
খ) আস্থায়ী হবে সেতু বন্ধন পঙক্তি। কিন্তু এখানে আস্থায়ীতেও সেতু বন্ধন পঙক্তি আছে।
গ) সঞ্চারীতে সেতু বন্ধন পঙক্তির দরকার নেই।