প্রেমের সমাধি

প্রেমের সমাধি
লেখক সহিদীয়া সঙ্গীত
প্রকাশনী উচ্ছ্বাস প্রকাশনী
সম্পাদক আহমেদ মুনির
প্রচ্ছদ শিল্পী আহমেদ মুনির
স্বত্ব লেখক
প্রথম প্রকাশ জানুয়ারী ২০১৮
সর্বশেষ প্রকাশ জানুয়ারী ২০১৮
সর্বশেষ সংস্করণ ১ম
বিক্রয় মূল্য ১৪০
বইটি কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

ভালবাসা
প্রেম
এবং
বিরহ লেখা
কবিতার বই
"প্রেমের সমাধি"

ভূমিকা

যারা লেখালেখি করেন তাদের একটি মৌলিক অভিজ্ঞতা থাকে। আর অভিজ্ঞতা হলো প্রায়ই লিখককে একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, কেন লিখেন?
আমিও এর ব্যতিক্রম নই। বড় কোন গণমাধ্যমের সম্মুখীন না হলেও আমাকেও অনেক বার এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
লেখকদের কাছে অনেকের এই যে প্রশ্ন, কেন? কেউ মনে করতে পারেন প্রশ্নটা হতে পারে কৌতুহলের কেউ জেরাও মনে করতে পারেন। তবে কারণ তো আছেই, অকারণে কেউ হয়তো লেখে না। কোন একজন মানুষ কেন অক্ষরের পর অক্ষর সাজিয়ে একটা অন্য জীবন তৈরি করতে চায়? ব্যাপারটা কি? এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হলে অ্যাঁদ্রে জিদ বলেছিলেন, ‘লিখি, কারণ না লিখলে হাত ব্যথা করে’, গার্সিয়া মার্কেজ বলেছিলেন, ‘লিখি যাতে আমার বন্ধুরা আমাকে আরো একটু বেশি ভালোবাসে।’
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ‘ লেখা ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে যেসব কথা জানানো যায় না সেই কথাগুলি জানাবার জন্য লিখি।’ জীবনানন্দ দাস ছোটখাটো একটা নিবন্ধ লিখেই এ প্রশ্নের উত্তর দিতে চেয়েছিলেন। লিখেছিলেন, আমার এবং যাদের আমি জীবনের পরিজন মনে করি তাদের অস্বস্থি বিলোপ করে দিতে না পেরে জ্ঞানময় করার প্রয়াস পাই এই কথাটি প্রচার করে যে জীবন নিয়েই কবিতা।

আমি জীবনে কোনদিন লেখক বা কবি হতে চাইনি। তাহলে তো প্রশ্নটি আরো জোরালো হয়, তবে কেন আমি লিখি? পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের জীবনে ছোট হোক বড় হোক কিছু একটা কাহিনী বা গল্প থাকে। হতে পারে সে গল্প কারো সাবেক প্রেমিকাকে নিয়ে, যে অত্যন্ত নির্মম ভাবে তাকে হৃদয় মাড়িয়ে চলে গেছে, আর কখনো ফিরে তাকায় নি তার দিকে। গল্প হতে পারে আইলানের মত নিষ্পাপ শিশুর নির্মমভাবে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে। গল্প হতে পারে মানুষের ব্যক্ত ও অব্যক্ত বহুবিধ বিষয় নিয়ে।
হ্যাঁ আমার জীবনেও গল্প ছিল বা আছে। আমি যে কথা বলতে চেয়েছিলাম আমার প্রিয় মানুষটিকে, বলতে পারিনি। তাকে প্রথম লিখেছিলাম। সেখানেও ছিল আমার ভয়, কারণ আমার লেখায় যদি সে কষ্ট পায় বা আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয় তাই লিখতে গিয়েও থেমে গিয়েছিলাম। সে যাই হোক তবু লিখেছিলাম। সেই থেকেই আমার লেখা শুরু। মুখস্ত বিদ্যায় পারদর্শী ছিলাম না বরাবরই, বানিয়ে লেখার অভ্যাস ছিল সেই প্রাথমিক থেকেই।

প্রিয় যে মানুষটিকে নিয়ে প্রথম যে অব্যক্ত কথা লিখেছিলাম, সেখান থেকেই আস্তে আস্তে লেখা আমার নেশা হয়ে দাঁড়ায়। আমি এখন একটু সময় পেলেই লেখি। মনে কষ্ট পেলেই লেখি। মনে আনন্দে দোলা দিলেই লিখি। মানুষের কোন দুঃখ দুর্দশা দেখলেই লিখি। কোন অন্যায় হলেই প্রতিবাদ করার জন্য লিখি। কোন ভাল কাজের প্রশংসার জন্য লেখি। যে প্রেম ভালবাসার জন্য বিধাতা এই ধরণী সৃষ্টি করেছেন সেই প্রেম ভালবাসা নিয়ে লিখি। বিরহ নিয়ে লিখি।

আমার এই “প্রেমের সমাধি” বইটি লিখেছি, বিশেষ করে তাঁদের জন্য যারা তার প্রিয় মানুষের কাছ থেকে কষ্ট পেয়েছেন। আমার এ লেখা যদি কারো কাছে একটু হলেও ভাল লাগে তাহলে আমি ধন্য।

উৎসর্গ

যার কারণে লেখকের কলম চলে

শেয়ার করুন: