প্রাণ সখী রে ওই শোন কদম্বতলে বংশী বাজায় কে
বংশী বাজায় কে রে সখী বংশী বাজায় কে
আমার মাথার বেণী খুইল্যা দিমু তারে আইনা দে
প্রাণ সখী রে ওই শোন কদম্বতলে বংশী বাজায় কে
যে পথ দিয়ে বাজায় বাঁশি সে পথ দিয়ে যায়
সোনার নূপুর পরে পায়ে
আমার নাকের নোলক খুইল্যা দিব সেইনা পথের গায়ে
আমার গলার হার গড়িয়ে দেব সেই না পথের গায়ে
যদি হার জড়িয়ে পড়ে যায়
প্রাণ সখী রে ওই শোন কদম্বতলে বংশী বাজায় কে
যার বাঁশি এমন, সে বা কেম্‌ জানিস যদি বল
সখি করিস না তো ছল, আমার মন বড় চঞ্চল
আমার প্রাণ বলে তার বাঁশি জানে আমার চোখে জল
প্রাণ সখী রে ওই শোন কদম্বতলে বংশী বাজায় কে
করলা বাঁশের-ও বাঁশি ছিদ্র গোটা ছয়
বাঁশি কতই কথা কয়
নাম ধরিয়া বাজায় বাঁশি রহনো না যায়
ঘরে রহনো না যায়
প্রাণ সখী রে ওই শোন কদম্বতলে বংশী বাজায় কে
কোন বা ঝাড়ের বাঁশের বাঁশি, ঝাড়ের লাগাল পাই।
জড়ে পেড়ে উগরাইয়া, সায়রে ভাসাই ॥
ভাইবে রাধারমণ বলে, শুন গো ধনি রাই।
জলে গেলে হবে দেখা, ঠাকুর কানাই ॥
প্রাণ সখী রে ওই শোন কদম্বতলে বংশী বাজায় কে