ভোলা-ময়রা ---
কেউ বা করছেন ব্যারিস্টারী কেউ বা করছেন ম্যাজিস্টারি
এলেমের জোরে কেউ বা করছেন জজগিরি
আর এ ব্যাটা পূজোর বাড়ি ভোজে লোভে নাচতে এসেছে ॥
পেদরু ফিরিঙ্গির বেটা পেরু কাটা
বেটা ছিল ভালো সাহেব ছিল হোলো বাঙালী
আর কবির দলে এসে মিলে পেটের কাঙালি ।
জন্ম যেমন যার কর্ম তেমন তার
ও বেটা ভেড়ের ভেড়ে নিমক ছেড়ে কবির ব্যবসা ধরেছে ॥


অ্যান্টনী ফিরিঙ্গী ---
যে শক্তি হতে উত্পত্তি তোমার পত্নী কি কারণ
কহ দেখি শুনি এর বিশেষ বিবরণ ।
সমুদ্র মন্থন-কালে বিষ পান করেছিলে
.                       তখন ডেকেছিলে দুর্গা বলে
সেদিন কি ভুলেও তাহারে বলেছিলে জননী  !


ভোলা-ময়রা ---
আমি সেই ভোলানাথ নইরে সে ভোলানাথ নই
আমি ময়রা ভোলা হরুর চেলা বাগবাজারে রই
আমি যদি সে ভোলানাথ হই
সবাই ভজে ভোলার চরণ আমার চরণ পূজে কই ॥


অ্যান্টনী ফিরিঙ্গী ---
প্রশ্নটা যে এড়িয়ে গেলি ওরে ভোলানাথ
ভেবেছিস উলটাপালটা কথা বলে করবি আসরমাত
শোনরে ভোলা তোরে আমি একটি কথা বলি,
নিজের ফাঁদে পড়ে এবার নিজেই যে তুই মলি,
জয় জয় যোগেন্দ্র-জায়া অসীম দয়া তাঁর,
সেই চরণে ঠাঁই নিস তো ( ভোলা ) তবেই হবি পার ॥


ভোলা-ময়রা ---
তুই জাত ফিরিঙ্গি জবরজঙ্গী, তোকে পারবে না মা তরাতে ।
শোনরে ভ্রষ্ট বলি স্পষ্ট, তুই রে নষ্ট মহা-দুষ্ট
তোর কি ইষ্ট কালীকৃষ্ট ভজগে তুই যিশুখ্রিস্ট


অ্যান্টনী ফিরিঙ্গী ---
সত্য বটে আমি জেতেতে ফিরিঙ্গি
ঐহিকে লোক ভিন্ন ভিন্ন অন্তিমে সব একাঙ্গী  ॥


ভোলা-ময়রা ---
দারোগারই চেয়ে দেখছি চৌকিদারের হাঁক বেশী,
সূর্য থেকে বালিরই তাপ অধিক সে ভাই কোন দেশী  ?
সানাইটা না গর্জে যত তর্জেরে তার পো-এর দল
বালুচরেও দাঁড়িয়ে বলে হ্যাঁ এখানে হাঁটুজল  ।


অ্যান্টনী ফিরিঙ্গী ---
জয় হোলো তোমার ভোলা কার সাধ্য তোমায় হারাতে
এবার তুমি থাকো গিয়ে ফুলবাবুদের পাড়াতে ।
স্বয়ং বিদ্যেসাগর মশাই তোমায় ঠাঁই দিয়েছেন মাথাতে ,
তোমার মত কবি কে আর আছে এ কোলকাতাতে
আমার জন্য থাকুক না হয় শুধুই কাঁটার জ্বালা
সবার মাঝে তোমার গলায় পরিয়ে দিলাম মালা  ।