নাচ রণাঙ্গনী সুধা তরঙ্গীনী
ঐ বাজে জয় ঢাক আসে রণচণ্ডী।
জয় জয় দুর্গা মহিষাসুরমর্দিনী
জয় জয় দূর্গা দুর্গতিনাশিনী।।
নিপীড়িতা পৃথিবী চায় মহা মুক্তি
অসুর ভাঙে আজ এই স্বর্গ সিঁড়ি
মাভৈঃ মাভৈঃ শোনাও তোমার বাণী ।
[ ওঁ সর্বে মঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থসাধিকে।
শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরী নারায়ণি নমোহস্তুতে।। ( চণ্ডী/ ১১/১০)]
[ যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতা।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।। ( চণ্ডী/৫/৩৪) ]
[ যা দেবী সর্বভূতেষু শান্তিরূপেণ সংস্থিতা।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।। ( চণ্ডী/৫/৪৯)]
ত্রিশূলে আঘাত কর, মহাশক্তি
মহামুক্তি জাগে, মহাশিব শিবানী ।
তাণ্ডব ধরণী, প্রলয় সমাধি
জাগো জাগো জাগো মা, মহামায়া শিবানী।।
মৃত্যুর ভয় কি! জাগে কাল চণ্ডী
শুম্ভ-নিশুম্ভ কতকাল লুকাবি।
তাণ্ডব ধরণী, প্রলয় সমাধি
অভয়া জাগো জাগো, বরাভয়দায়িনী।।
[ ইত্থং যদা যদা বাধা দানবোত্থা ভবিষ্যতি।
তদা তদাবতীর্য্যাহং করিষ্যাম্যরিসংক্ষয়ম।। (চণ্ডী/ ১১/৫৫) ]
[ ঊর্ধ্বং ব্রহ্মাণী মে রক্ষেদধস্তাদ্ বৈষ্ণবী তথা।
এবং দশ দিশো রক্ষেৎ চামুণ্ডা শববাহনা।। ( দেবীকবচ/ ২১ / চণ্ডী)]
[ ওঁ সর্বে মঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থসাধিকে।
শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরী নারায়ণি নমোহস্তুতে।। ( চণ্ডী/ ১১/১০)]
কথায় : ( মা রুদ্রাণী, তোমার রুদ্রবীণা বাজাও, নাশ করো, নাশ করো, এ পাপ মেদিনী, প্রলয় আনো, মহাপ্রলয়ের ঝংকার উঠুক! শিবের বুকে তাণ্ডব উঠুক! ছন্দের দ্যেদুল্যমান আনন্দে পৃথিবীকে প্রাণের আহ্বান জাগুক! নর-পিশাচের দল তোমার অস্তিত্ব লক্ষ্য করুক! তোমার ত্রিশূলের তীব্র আঘাতে ধ্বংস নেমে আসুক! রক্ষা কর সুন্দরেরে, ধর্মের গ্লানি ঘুচাও! অভয় হস্ত দ্বারা মুক্ত কর মহামানবের। অবতীর্ণ হও হৃদয়ে আমার, তোমার মঙ্গল শঙ্খ আবার বাজুক! ]