লালন শাহ

লালন শাহ
জন্ম ১৭৭২
জন্মস্থান হরিশপুর, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
মৃত্যু ১৭ অক্টোবর ১৮৯০
সমাধি কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ

লালন শাহ লালন ফকির নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন বাঙালি বাউল কবি, গায়ক, এবং সমাজ সংস্কারক। তিনি ১৭৭২ সালে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার হরিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং কোনও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করেননি। তবে তাঁর সঙ্গীত ও কবিতার প্রতি সহজাত প্রতিভা অল্প বয়সেই ফুটে উঠে, যা তাঁকে সামাজিক বেড়াজাল ভেদ করে মর্মস্পর্শী গান রচনা করতে প্ররোচিত করে। লালনের গানগুলি তাদের সরল ভাষা, গভীর দার্শনিক অন্তর্দৃষ্টি এবং প্রেম, সহনশীলতা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি অবিচল নিষ্ঠার জন্য বিখ্যাত। তিনি ধর্মীয় বৈষম্যের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন এবং সামাজিক অবস্থা, বর্ণ বা ধর্ম নির্বিশেষে সবার জন্য সমতা প্রচার করেছিলেন। তাঁর শক্তিশালী গীতিবিন্যাস সীমানার বাঁধন ছাড়িয়ে আজও প্রজন্মের পর প্রজন্ম মানুষের মনে প্রতিধ্বনি করে এবং বাঙালি সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ দিপশিখা হিসেবে তাঁর অবস্থানকে দৃঢ়ীভূত করে।


Lyrics RSS

এখানে লালন শাহ-এর ৪২৭টি গানের কবিতা পাবেন।

   
শিরোনাম মন্তব্য
অখন্ড মন্ডলাকারং ব্যাপ্তং যেন চরাচর
অজান খবর না জানিলে কীসের ফকিরি
অধরাকে ধরতে পারি কই গো তারে তার
অনাদির আদি শ্রীকৃষ্ণনিধি
অনুরাগ নইলে কি সাধন হয়
অনুরাগের ঘরে মারগা চাবি
অনেক ভাগ্যের ফলে সেই চাঁদ কেউ দেখিতে পায়
অন্তরে যার সদাই সহজরূপ জাগে
অন্তিমকালের কালে ও কি হয় না জানি
অন্ধকারে রাগের পরে ছিল যখন সাঁই
অন্ধকারের আগে ছিল সাঁই রাগে
অপারের কাণ্ডার নবিজী আমার
অবোধ মন তোরে আর কী বলি
অবোধ মন রে তোর হলো না দিশে।
অমাবস্যার দিনে চন্দ্র যেয়ে থাকে কোন শহরে
অমৃত মেঘের বারি
অমৃত সে-বারি অনুরাগ নইলে কি যাবে ধরা
অসার ভেবে সার দিন গেল আমার
আইন সত্য মানুষবর্ত করো এই বেলা
আইনমাফিক নিরিখ্ দিতে ভাব কি
আকার কি নিরাকার সাঁই রব্বানা
আকারে ভজন সাকারে সাধন, তায়
আগে কপাট মার কামের ঘরে
আগে কে জানে গো এমন হবে
আগে গুরুরতি কর সাধনা
আগে জান না রে মন
আগে জানো নারে মন
আগে পাত্র যোগ্য না করে যে জন সাধন করে
আগে মন সাজো প্রকৃতি
আগে শরিয়ত জান বুদ্ধি শান্ত করে
আছে আল্লা আলে রসুলকলে
আছে কোন মানুষের বাস কোন দলে
আছে দিন দুনিয়ার অচিন মানুষ একজনা
আছে ভাবের তালা যেই ঘরে
আছে মায়ের ওতে জগৎপিতা ভেবে দেখ না
আছে যার মনের মানুষ মনে তোলা
আছে যার মনের মানুষ মনে সেকি জপে মালা
আছেন কোথায় স্বর্গপুরে
আছেরে ভাবের গোরা আসমানে
আজ আমার অন্তরে কী হলো ও গো সই
আজ আমার কৌপিন দে গো ভারতী গোঁসাই
আজ কি দেখতে আলি গো তোরা বলনা তাই
আজ ব্রজপুরে কোন পথে যাই
আজ রোগ বাড়ালি শুধু কুপথ্যি করে
আজগবি বৈরাগ্য লীলা দেখতে পাই
আজব আয়না মহল মণি গভীরে
আজব এক রসিক-নাগর ভাসছে রসে
আজব রঙ ফকিরি
আজো করছে সাঁই ব্রহ্মাণ্ডের অপার লীলে
আঠার মোকামে একটি রূপের বাতি